অনলাইন ডেস্ক:
গাজায় সাহায্য নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে নৌবহরের প্রায় সব জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু একটি জাহাজ—‘ম্যারিনেট’—এখনও আটক হয়নি।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, জাহাজটি পোল্যান্ডের পতাকা নিয়ে চলছে এবং এতে ছয়জন আরোহী আছেন। এটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় রয়েছে। জাহাজটি খুব ধীর গতিতে, ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা
কেন এই নৌযান আলোচনায়?
- বাকি সব জাহাজ আটক হলেও শুধু ‘ম্যারিনেট’ চলছে।
- এর আগে ইঞ্জিনে সমস্যা হয়েছিল, পরে তা ঠিক করা হয়েছে।
- জাহাজটি স্টারলিংক ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগে আছে এবং লাইভ স্ট্রিমে দেখা যাচ্ছে এটি সক্রিয় আছে।
ইসরায়েলের পদক্ষেপ
বুধবার রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ত্রাণবাহী জাহাজগুলোতে অভিযান চালায়। আটক করা হয় দুই শতাধিক যাত্রীকে। তাদের মধ্যে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন। সূত্র: এপি
ইসরায়েল বলছে, ফ্লোটিলা যাত্রীরা “বৈধ অবরোধ ভাঙতে” চাইছিল এবং যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছিল। সূত্র: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কুয়েতসহ অনেক দেশ এই আটক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।
অন্যদিকে ইতালি বলেছে, এই আটক হলেও গাজার মানুষের জন্য নির্ধারিত ত্রাণ পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হবে না।
সংক্ষেপে
- ম্যারিনেট এখনো মুক্ত এবং গাজার দিকে যাচ্ছে।
- এতে ছয়জন আরোহী আছে।
- আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে, গাজার কাছাকাছি।
- ইসরায়েল বাকি সব জাহাজ আটক করেছে এবং যাত্রীদের কারাগারে নিয়েছে।
- বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
