অনলাইন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে হঠাৎ করে একটি বিশাল টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়, যখন ইস্রায়েলের বিমান হামলায় দোহায় একটি বৈঠকে পাঁচ হামাস সদস্য ও একটি কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। বৈঠকটি ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত আলোচনা স্থান, যা শান্তি আনতে পারে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে ধরা হচ্ছিল।
এই হামলাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক উত্তেজনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হামলার পর আল-থানি যুক্তরাষ্ট্রে যান, এবং শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মিলন হয় একটি রাত্রিভোজ বৈঠকের মাধ্যমে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় হোয়াইট হাউসে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সেখানকার সাক্ষাতের পরবর্তী আলোচনায়।
বৈঠকে কেন্দ্রবিন্দু ছিল তিনটি বিষয়: দোহায় ইসরায়েলের হামলার প্রভাব, গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য পথ, এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতার ভবিষ্যত রূপরেখা। ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই একতরফা হামলা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের স্বার্থে নয়, এবং কাতারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে এমন ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি হবে না। অপরদিকে কাতার জানিয়ে দিয়েছে তারা মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে যাবে না এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনাই তাদের নীতি।
এই বৈঠকের প্রেক্ষাপটে আগামী রোববার ও সোমবার দোহায় একটি জরুরি আরব–ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে হামলার পরপরই সিদ্ধান্তমূলক উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে এ মুহূর্তটি স্পষ্ট একটি সংকেত যে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আজ শুধুই কূটনৈতিক লাইন দেখা নয়—কিন্তু একটি ‘পথ’ যা দ্রুত বাস্তবে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের পাঠকদের জন্য শিক্ষা: আন্তর্জাতিক রাজনীতি কখনওই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে না; একটি একক ঘটনা রাজনৈতিক মনোভাব, কূটনৈতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তার ধারণাকে হঠাৎ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
