গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নূরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার (৩০ আগস্ট) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সম্পন্ন করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, হামলায় জড়িত কেউই জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার কার্যক্রম শেষ করা হবে।
সরকার জানায়, নূর ও তার দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত নুরুল হক নূরের ভূমিকা স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তার সাহস ও আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য।”
এছাড়া সরকার দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বানচাল বা বিলম্বিত করার কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
