অনলাইন ডেস্ক:
প্রেমের ফাঁদে পড়ে স্বামী ও সংসার হারানোর পর শেষ পর্যন্ত প্রাণও হারাতে হলো নাটোরের বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর গ্রামের শ্যামলী খাতুনকে (৩০)। গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় তার প্রেমিক সুজন (৪০) গলা কেটে হত্যা করেন তাকে।
শ্যামলীর একমাত্র ৮ বছরের মেয়ে জুঁই বর্তমানে নানীর কাছে রয়েছে। তিন বছর আগে মায়ের পরকীয়ার কারণে বাবাহীন হওয়া শিশুটি এবার মাকেও হারিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে শ্যামলীর বিয়ে হয় রাজশাহীর বাগমারার আব্দুল জলিলের সঙ্গে। সংসার সুখেই চলছিল, তবে চাকরির সুবাদে রাজশাহীতে ম্যানেজার সুজনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয় শ্যামলীকে। পরে ধর্মীয় মতে বিয়ে করলেও কিছুদিন পরই সুজনের আরেক স্ত্রী ও দুই সন্তানের খবর জানতে পেরে শ্যামলী বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।
চলতি বছরের শুরুতে শ্যামলী আরেকটি বিয়ে করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন তার গোপন ভিডিও স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে পাঠান। এতে সংসার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে শ্যামলী ঢাকায় গিয়ে চাকরি নেন এবং পরীক্ষা দেন। পরে সুজন কৌশলে তাকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ডেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন।
ঘটনার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় রেলওয়ে পুলিশ সুজনকে আটক করে। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
