অনলাইন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত মাসে কাতারে ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে বলেছেন, কাতারে যেকোনো সশস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও “সরাসরি হুমকি” হিসেবে গণ্য করা হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, আদেশে বলা হয়েছে,
“বিদেশী আগ্রাসনের কারণে কাতারের প্রতি অব্যাহত হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বহিরাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে কাতার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।”
ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি
এপি নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
“কাতারের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিকসহ সকল আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।”
এটি কার্যত ন্যাটো–শৈলীর নিরাপত্তা নিশ্চয়তার মতোই কাজ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ঘোষণা?
কাতারের অবস্থান
কাতার উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। দেশটিতে আল-উদেইদ এয়ারবেস রয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের (CENTCOM) আঞ্চলিক সদর দপ্তর অবস্থিত।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বলেছে,
“এই চুক্তি শুধু কাতারের জন্য নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে নতুন মাত্রা দেবে।”
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা আর হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এপি নিউজ লিখেছে, এই ক্ষমা চাওয়াটা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
পলিটিকো মন্তব্য করেছে,
“ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এক বিরল দৃষ্টান্ত। প্রথমবারের মতো একটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশকে সরাসরি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হলো।”
তবে সমালোচকরা বলছেন, নির্বাহী আদেশ ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট চাইলে বাতিলও করতে পারেন। ফলে এটি কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
সারসংক্ষেপ
- ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নীতি ঘোষণা করেছে।
- যেকোনো আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখবে।
- প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
- মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নতুনভাবে মূল্যায়িত হবে।
