ভোটে নিরাপত্তা: পুলিশ পাচ্ছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা

পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে বডি-ক্যামেরা পরিধান করেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 투dak — সরকার নির্বাচনী নিরাপত্তাকে শক্ত করতে UNDP-র মাধ্যমে পুলিশকে দেওয়া হবে ৪০ হাজার ‘বডি ক্যামেরা’। ছবি সংগ্রহীত

অনলাইন ডেস্ক:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার নিরাপত্তা জোরদার করতে বড় একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার পুলিশকে দেওয়া হবে প্রায় ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ৩১তম সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদে

তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে পুলিশকে বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে। এ জন্য ক্রয় প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বডি ক্যামেরা কী এবং কেন দরকার?

বডি ক্যামেরা হলো একটি ছোট ভিডিও ক্যামেরা যা পুলিশ সদস্যরা তাদের পোশাকে লাগিয়ে রাখেন। এটি সব সময় চালু থাকে এবং আশেপাশের ছবি ও শব্দ রেকর্ড করে।

কেন দরকার?

  • ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি রেকর্ড হবে।
  • কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা হলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।
  • পুলিশ সদস্যদের কাজকর্ম স্বচ্ছভাবে দেখা যাবে।
  • সাধারণ মানুষ আস্থা পাবে যে সবকিছু ঠিকভাবে হচ্ছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত

  • সংখ্যা: প্রায় ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনা হবে।
  • প্রক্রিয়া: এই ক্যামেরাগুলো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর মাধ্যমে আনা হবে।
  • কারণ: UNDP-এর মাধ্যমে আনা হলে মান নিশ্চিত হবে এবং দামের স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। সরকারকে কোনো কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি দর কষাকষি করতে হবে না।

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকালীন সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।


কীভাবে কাজে লাগবে?

  1. ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার: পুলিশ সদস্যরা ক্যামেরা পরে দায়িত্ব পালন করবেন। এতে প্রতিটি ঘটনাই ভিডিওতে রেকর্ড হবে।
  2. অভিযোগের প্রমাণ: কোনো পক্ষ অভিযোগ করলে ক্যামেরার ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
  3. শৃঙ্খলা রক্ষা: পুলিশ ও ভোটার উভয়ই সচেতন থাকবে, কারণ তারা জানবে সব কিছু ভিডিও হচ্ছে।

সুবিধা

  • নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।
  • পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত হবে।
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
  • আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কেনা হবে বলে মান নিয়ে সন্দেহ থাকবে না।

চ্যালেঞ্জ

  • এতগুলো ক্যামেরা দ্রুত আনা ও বিতরণ করা বড় কাজ।
  • পুলিশকে এসব ক্যামেরা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
  • ভিডিও সংরক্ষণ ও ব্যবহারের নিয়ম তৈরি করতে হবে।
  • ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

উপসংহার

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে শুধু ক্যামেরা কেনাই যথেষ্ট নয়। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংরক্ষণ করা হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও বিশ্বাসযোগ্য হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *