অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানী ঢাকার অন্যতম অপরাধপ্রবণ এলাকা মোহাম্মদপুরে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ সম্প্রতি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে পরোয়ানাভুক্ত আসামি, ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা, নিয়মিত মামলার আসামি এবং নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা।
অভিযান পরিচালনার সময়সূচি
থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়। মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে পুলিশ সদস্যরা চিরুনি অভিযান চালায়। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গ্রেফতারকৃতদের নাম ও পরিচয়
অভিযানে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো:
১। আসিফ ওরফে কান্তা (২৩)
২। আব্দুল মান্নান (২০)
৩। মোমিন (২০)
৪। রাসেল (২২)
৫। মিরাজ (২৮)
৬। জাহাঙ্গির আলম (৭৬)
৭। নয়নমনি (২৭)
৮। শাকিল (৩২)
৯। রুবেল (৩১)
১০। আমান উল্লাহ (৫৮)
১১। ইয়ামিন হাসান রিদয় (২২)
১২। ইয়াসিন হোসেন সাগর (২০)
পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে সক্রিয় ছিল। আবার কেউ পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম লিখিয়েছিল অনেক আগেই।
অপরাধের ধরণ
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা
- মাদক ব্যবসা
- ছিনতাই
- পরোয়ানাভুক্ত পুরনো মামলা
- নিয়মিত আইন ভঙ্গের অভিযোগ
এইসব কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছিল। অভিযানের ফলে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
পুলিশের বক্তব্য
মোহাম্মদপুর থানার এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা নিয়মিতভাবে এলাকায় অপরাধ দমন অভিযানে কাজ করছি। সাম্প্রতিক অভিযানে যেসব অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে, তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, পুলিশের এই অভিযান চলমান থাকবে। অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া
অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা মনে করছেন, এই ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশে কমে আসবে। অনেকে বলছেন, রাতের বেলা চলাফেরার সময় ছিনতাইয়ের ভয় বা মাদকের প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
সামাজিক প্রভাব
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুধু অপরাধীদের গ্রেফতার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয়। এতে সাধারণ মানুষ সাহস পায়, অপরাধীরা আতঙ্কিত হয় এবং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি এলাকায় স্থায়ী টহল, তথ্য সংগ্রহ এবং সোর্সের মাধ্যমে অপরাধীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অপরাধ দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সূত্র : ডি এম পি নিউজ
