পুরনো নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ ভুলে শান্তিপূর্ণ ভোট চান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বক্তৃতা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন ভুলে শান্তিপূর্ণ জাতীয় ভোট আয়োজনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার, ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন ভুলে যেতে হবে এবং নতুনভাবে জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

রাজারবাগে বক্তব্য

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। সবচেয়ে বড় অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলো। এরপর নির্বাচন কমিশন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও নিরপেক্ষ থাকতে হবে, জনগণের দিকে যেতে হবে, কোনো রাজনৈতিক দলের দিকে নয়।”

পুলিশকে জনগণের পাশে থাকার পরামর্শ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে জনগণের সেবায় নিবেদিত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “পুলিশ এবার ফেয়ার রিক্রুট সম্পন্ন করেছে। কোনো নাম মন্ত্রণালয় থেকে সাজেস্ট করা হয়নি। পোস্টিংও লটারির মাধ্যমে করা হচ্ছে। আমি যতদিন থাকবো, এই প্রক্রিয়াই চলবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের সফলতা প্রচার করা হয় না, কিন্তু ব্যর্থতাকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়। “আমাদের কাজের ইতিবাচক দিকগুলোও জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার,” যোগ করেন তিনি।

অপারেশন ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ বন্ধ হয়নি জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ফ্যাসিস্টের দোসররা জামিনে বের হয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা সজাগ আছি। পূজার সময় অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তবে তা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।”

নির্বাচনী পরিবেশে আস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে হবে। এবারের জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যকে বিশ্লেষকরা দেখছেন আস্থার বার্তা হিসেবে। অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের ছায়া কাটিয়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে কি না, সেটিই এখন প্রধান প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *