অন্তবর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশে পরিস্থিতি জটিল হবে: তারেক রহমান

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

রোববার (৩১ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি উদযাপন করল তার ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য’-শীর্ষক এই আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “অন্তবর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে, কারণ অপশক্তি সুযোগ খুঁজছে।”


১. রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা: আশঙ্কা ও গুরুত্ব

তারেক রহমান উদ্বেগ প্রকাশ করেন, “জাতীয় নির্বাচন আয়োজিত হওয়া পর্যন্ত জনগণ নিশ্চয়তামুক্ত নয়” এবং যদি অন্তবর্তী সরকার এই সময় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে অপশক্তি পরিস্থিতিকে আরো জটিল করার চেষ্টা করবে। এটি একটি সতর্কবার্তা—ডেমোক্রেসির রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।


২. শহীদদের স্মরণ ও দলীয় অঙ্গীকার

তিনি ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় শহীদ নেতাকর্মীদের স্মরণ করেন, বিশেষ করে “নিহত ও জুলাই আন্দোলনে শহীদদের” প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েও বলেন—“আমাদের দল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জনগণের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া উচিত যেন বিএনপি লক্ষ্যচ্যুত না হয়।” দলের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন থাকা উচিত—যেখানে সামাজিক ও গণতান্ত্রিক আদর্শের গুরুত্ব অপরিসীম।


৩. নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রক্রিয়া ও মবাইলোয়েন্স বন্ধে আহ্বান

তারেক রহমান নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে “মোব ভায়োলেন্স (মোবিলাইজড হিংসা)”কে প্রশ্রয় না দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক মুক্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ”—অর্থাৎ দৃষ্টান্তমূলক, জনগণমূখী সংস্কার চান, নয়তো রূপ নেয় পুঁথিগত তথা বাইরের চাপের সংস্কারে।


৪. “প্রধানমন্ত্রী হবে তারেক রহমান” — ফখরুলের দৃঢ় বার্তা

অন্যদিকে একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন—“বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।” এটি দলের নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দু স্পষ্ট করবে এবং দলের প্রতিজ্ঞা শক্তিশালী করবে।


৫. ৩১ দফার সংস্কারে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন

মহাসচিব উল্লেখ করেন, সরকার গঠনের সাথে সাথে যদি বাস্তবায়ন করা হয় শেখানো ৩১ দফা সংস্কার—“বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব হবে”। এটি একটি গুরুত্বপূর্ন মানচিত্র—নির্যাতন, দুর্নীতি, দলীয় আধিপত্য, অর্থনৈতিক অসুরক্ষতা ইত্যাদি মোকাবিলায় দল নির্ধারিত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।


বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট

এই বার্তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়, এটি একটি বার্তা যেখানে গণতন্ত্র, নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ, সাংগঠনিক অঙ্গীকার, ভবিষ্যতের নেতৃত্ব—সবই একসাথে এম্বেড করা হয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন ওঠে—প্রধানত এই চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপির নেতারা তাদের অঙ্গীকার পুনরায় সংহত করতে চাচ্ছেন।


সংক্ষিপ্তসার (Bullet Summary)

  • অন্তবর্তী সরকারের ব্যর্থতা অপশক্তির জন্য পরিস্থিতি জটিল করার সুযোগ তৈরি করবে।
  • শহীদদের স্মরণ ও দলীয় অঙ্গীকার: “লক্ষ্যচ্যুত না হওয়া”
  • নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুতা ও হিংসা প্রতিরোধ: মোব ভায়োলেন্সের বিস্তরণ বন্ধ করতে হবে
  • যদি সরকার হয়, ত তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী — ফখরুল
  • ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন সম্ভব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *