অনলাইন ডেস্ক:
সহজক্যাশ’ কী এবং কেন সতর্কবার্তা?
সম্প্রতি “সহজক্যাশ লিমিটেড” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়।
বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তারা মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস (MFS) চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে যাচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এক ঘোষণায় জানিয়েছে—
এই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কাছে কোনো আবেদনই করেনি।
“সহজক্যাশ” নামে কোনো অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।
অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটি যদি বলে তারা ব্যাংকের অনুমোদনে কাজ করছে—তা পুরোপুরি মিথ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (DCP) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে—
“সহজক্যাশ লিমিটেড নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন বা প্রতিশ্রুতি থেকে বিরত থাকুন।”
এই ঘোষণা আসে ৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাতে।
কেন এই সতর্কবার্তা গুরুত্বপূর্ণ
১. প্রতারক চক্রের ফাঁদ থেকে বাঁচতে
অনেকে নতুন নতুন অ্যাপ বা প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে প্রতারিত হন। অনুমোদন না থাকলে আপনার টাকা নিরাপদ নয়।
২. তথ্য চুরি বা অপব্যবহারের ঝুঁকি
এই ধরনের অ্যাপে নাম, এনআইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা বিকাশ নম্বর দিলে তা হ্যাকার বা প্রতারকরা ব্যবহার করতে পারে।
৩. বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন মানেই নিরাপত্তা
শুধুমাত্র যেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত, যেমন—বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ট্যাপ—এসব ব্যবহারে নিরাপদ লেনদেন সম্ভব।
সাধারণ মানুষ কী করবেন?
- অপরিচিত অ্যাপ বা কোম্পানিতে টাকা পাঠাবেন না।
- “সহজক্যাশ” বা এর মতো নামের কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।
- কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বলে “আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনে কাজ করি”—তাদের কাছে প্রমাণ চেয়ে নিন।
- সন্দেহ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক বা নিকটস্থ থানায় জানান।
- অনুমোদিত MFS অ্যাপগুলো (বিকাশ, নগদ ইত্যাদি) ব্যবহার করুন।
আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা
এটি নতুন কিছু নয়। অতীতেও এমন অনেক ভুয়া অ্যাপ বা প্রতিষ্ঠান এসেছে যারা মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ধরনের অননুমোদিত অ্যাপ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালায়।
উপসংহার
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সতর্কবার্তা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
অর্থের নিরাপত্তা নিজের হাতে, তাই সচেতন থাকুন।
“সহজক্যাশ” নামে কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত নয়।
তাই কেউ যেন এই প্রতিষ্ঠানে টাকা না পাঠান, চাকরির প্রলোভনে না পড়েন, বা কোনো আর্থিক প্রতিশ্রুতি না দেন।
নিজে সচেতন থাকুন, অন্যকেও সতর্ক করুন।
