তথ্যসূত্র: বারনামা, কুয়ালালামপুর
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার পথিকৃৎ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারপ্রধানের পদে বসা তাঁর ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়; এটি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বারনামাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য নয়, এটা সেসব মানুষের চাওয়া, যাঁরা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। আমি শুধু তাঁদের পথ সহজ করছি।”
গত বছরের গণ–অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাপক ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেন। দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের অস্থির সময়ে এই দায়িত্বকে তিনি নিজের জন্য নয়, বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি একটি কর্তব্য হিসেবে দেখছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের তরুণ ভোটারদের মধ্যে অনেকে ১০ থেকে ১৫ বছর অপেক্ষা করেছেন ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। এবারই প্রথম তাঁদের সেই সুযোগ আসছে। এ বিষয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আগামী নির্বাচনে জনগণ তাঁদের মত প্রকাশ করতে পারবেন।
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পাওয়া ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক আজ কোটি মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি ১ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার গ্রহীতাকে প্রায় ৪০ হাজার ৩৬৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছে, যার ৯৭ শতাংশই নারী।
জাতীয় পরিবর্তনের প্রত্যাশা ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী অধ্যাপক ইউনূস এবারও প্রমাণ করলেন— তিনি কেবল অর্থনীতির নয়, সময়েরও এক সাহসী পথিকৃৎ।